শম্পা গুপ্ত : প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞায় এবছর বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিকার উৎসব অনেকটাই সাদামাটা হল। খালিহাতেই ফিরতে হল অযোধ্যা পাহাড়ে আসা শিকারীদের। শিকার উৎসবে যাতে কেউ বন্য প্রাণী হত্যা না করেন, সেইকারণে সোমবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় ছাড়াও বাঘমুন্ডির বিভিন্ন জঙ্গলে কড়া নজরদারি চালান বনদপ্তরের কর্তা সহ পুলিশ কর্তারা।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই উৎসবে যোগ দিতে সোমবার অযোধ্যা পাহাড়ে হাজির হন। রীতি মেনে তারা এই উৎসবে মেতে ওঠেন। এই রীতির মধ্যে শিকার উৎসব একটি অন্যতম অংশ। তবে এবছর পশু শিকারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জেলা বন দপ্তর।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও এব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন, যাতে উৎসবে এসে কেউ বন্য প্রাণী শিকার করতে না পারেন। আর তাই তাঁরা বিভিন্ন জঙ্গলে কড়া নজরদারি চালান। এদিন পাহাড়ে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা, জেলা পুলিশের এক আধিকারিক, ঝালদা এসডিপিও সুব্রত দেব, বলরামপুরের সিআই পার্থকুমার সিংহ, বাঘমুন্ডি থানার ওসি রজত চৌধুরী, সুইসা ফাঁড়ির ইনচার্জ আশীষ কুমার মন্ডল, বাঘমুন্ডি ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবরাজ ঘোষ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা।
উৎসবে আসা মানুষদের কাছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হয় যে, তাঁরা নিজেদের মতো করে উৎসব মেতে উঠুন। কিন্তু প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে কেউ যেন বন্য প্রাণী শিকার না করেন। বনদপ্তরের এই আবেদনে সাড়া দেন অযোধ্যা পাহাড়ে আসা আদিবাসী মানুষেরা। তারা বিষয়টি গুরুত্ব বুঝেছেন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন