সমকালীন প্রতিবেদন : জঙ্গল ঘেরা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে নানা ধরণের বন্যপ্রাণীর বসবাস। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্যপ্রাণী শিকার এই উৎসবের অন্যতম অঙ্গ। বহুদিনের এই প্রথা পালন করতে প্রতি বছর অযোধ্যা পাহাড়ে তির–ধনুক হাতে নিয়ে হাজির হন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। কে কত বেশি বন্যপ্রাণী শিকার করতে পারে, তার প্রতিযোগিতা চলে।
এইভাবে দিনের পর দিন পুরনো প্রথা মানতে গিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ের বন্যপ্রাণী নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। ইতিমধ্যেই অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির এই অযোধ্যা পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশকে সাজিয়ে রেখেছে সেখানকার বন্যপ্রাণী এবং অরণ্য। সেখানে বন্যপ্রাণ এবং অরণ্য একটু একটু করে ধ্বংস হতে থাকায় সুন্দরী অযোধ্যা পাহাড় তার নিজস্বতা হারাচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে তাই বনদপ্তর এবং বন সুরক্ষা কমিটি উৎসবের নামে বন্যপ্রাণী হত্যা এবং জঙ্গলে আগুন লাগানো বন্ধের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এবছর ১৫ থেকে ১৭ মে বুদ্ধপূর্ণিমা। সেই উলপক্ষ্যে উৎসবে মেতে উঠবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তার আগে অরণ্য এবং বণ্যপ্রাণ রক্ষা করতে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন তাঁরা। এলাকায় মাইক প্রচার চালানো হচ্ছে।
পুরুলিয়ার ঝালদা বনাঞ্চলের ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের পুস্তি অঞ্চলের হেন্সলা, নিমডি সহ একাধিক গ্রামের বন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। এছাড়া, ঝালদা বনদপ্তর এবং বন কমিটির যৌথ উদ্যোগে টহলদারি, মাইক প্রচার, হ্যান্ডবিল বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তাঁদের আশা, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে মানুষ এব্যাপারে সচেতন হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন