সমকালীন প্রতিবেদন : শুক্রবার থেকে যশোর রোডের দুধারের বিপজ্জনক গাছ চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকা থেকে শুরু হল এই কাজ। চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হবার পর সেই গাছের বিপজ্জনক কাঁচা ডালগুলি দ্রুত কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বনগাঁর পাশাপাশি অশোকনগর এলাকাতেও এই ধরনের বিপজ্জনক গাছের ডাল কেটে ফেলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।
পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বারাসত পর্যন্ত যশোর রোডের দুধার দিয়ে প্রচুর প্রাচীন গাছ রয়েছে। এই গাছগুলির মধ্যে অনেকগুলিই বর্তমানে বিপজ্জনক হয়ে পরেছে। এইধরনের গাছের ডাল ভেঙে পরে মাঝেমধ্যেই বিপদ ঘটাচ্ছে। দিন কয়েক আগেই গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় বড় মাপের একটি ডাল ভেঙে দোকানের উপর পরে। আর তাতে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির।
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিপজ্জনক গাছ কেটে ফেলার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এপিডিআরের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে গাছের ডাল কাটার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এরপর উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তার নেতৃত্বে বনগাঁয় একটি বৈঠকে যশোর রোডের গাছগুলির মধ্যে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছের কাঁচা ডালগুলিকে চিহ্নিতকরণ করে সেগুলি দ্রুত কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার বিপজ্জনক গাছ চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেন জাতীয় সড়ক, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা। এব্যাপারে জাতীয় সড়ক বিভাগের বনগাঁ অফিসের সহকারী বাস্তুকার স্নেহাশীষ সিকদার জানান, 'পেট্রাপোল থেকে গাইঘাটার কুলপুকুর পর্যন্ত মোট ৩০ কিলোমিটার এলাকায় এই গাছ চিহ্নিতকরণের পর কাঁচা ডাল কাটার কাজ শুরু হবে।'
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানান, তিনটি রঙে গাছগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেগুলি হল– শুকনো, বিপজ্জনক এবং খুব শুকনো। যদিও এব্যাপারে স্থানীয় মানুষের দাবি, শুধু বিপজ্জনক ডাল নয়, বিপজ্জনক গাছগুলিকেও কেটে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন