সমকালীন প্রতিবেদন : সোস্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য পোষ্ট করায় বনগাঁর এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বারে বারে তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁর কোনও সন্ধান পায় নি। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকে নিঁখোজ তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম সিন্টু ভট্টাচার্য। বাড়ি বনগাঁ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত শিমুলতলা এলাকায়।
অভিযোগ, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কলকাতায় তৃণমূলের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময় ফেসবুক লাইভে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই লাইভে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে একপ্রকার 'নালিশ' জানিয়ে একটি মন্তব্য পোষ্ট করেন সিন্টু। সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়।
এব্যাপারে তন্ময় রায় নামে হাবড়ার এক তৃণমূল কর্মী হাবড়া থানায় সিন্টু ভট্টাচার্যের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাবড়া এবং বনগাঁ থানার পুলিশ সিন্টুর খোঁজে দফায় দফায় সিন্টুর বাড়িতে যায়। যদিও পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে সিন্টুর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এব্যাপারে সিন্টু ভট্টাচার্য়ের ভাই গৌতম ভট্টাচার্য জানান, 'একটা সামান্য ফেসবুক পোষ্টকে কেন্দ্র করে এতো কান্ড ঘটতে পারে, তা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি। তারপরেও দাদা এবং আমরা এব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। ঘটনার পর থেকে দাদার কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। ফলে আমরা খুব চিন্তায় আছি।'
এই ফেসবুক পোষ্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর আঢ্য। তিনি জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বামফ্রন্টের আমল থেকে লড়াই করে এই জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালি করেছেন। বনগাঁ পুরসভার উন্নয়নেও তাঁর অনেক সহযোগিতা পাওয়া গেছে। তাঁরমতো একজন নেতার বিরুদ্ধে এইধরনের মন্তব্য দলের কর্মীরা মেনে নেবেন না।'
একইভাবে এই পোষ্টের নিন্দা করেছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠও। তিনি বলেন, 'সত্য–মিথ্যা যাচাই হচ্ছে। দোষ প্রমানিত হলে রাজনৈতিকভাবে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে। দলের উচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এইরকম মন্তব্য করা কারোরই উচিত নয়। ভবিষ্যতেও এব্যাপারে নজর রাখা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন