শম্পা গুপ্ত : স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে মাথায় সিঁদুর পরা অবস্থায় স্বামীর ঘরের সামনে ধর্ণায় নববধূ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো পুরুলিয়ার কেন্দা থানার দরোডি গ্রামে। গ্রামের একটি বাড়ির দাওয়ায় এদিন সকাল থেকেই ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি দাবী করেন, ওই বাড়ির ছেলে নীলকমল গোপ আগের রাতেই তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন।
এরপর শ্বশুরবাড়িতে এলে ওই যুবতীকে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। উল্টে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই উধাও যুবতীর স্বামী। এই ঘটনায় ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রীনা গোপ ওই যুবতী জানিয়েছেন, নীলকমলের সঙ্গে দুবছর ধরে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।
পুরুলিয়ার দরোডির বাসিন্দা হলেও ওই যুবতী পড়াশোনার সুবাদে হাওড়ায় থাকেন। যুবতীর দাবী, মোবাইলের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এরপরই সোমবার আত্মীয় এবং গ্রামের কয়েকজনের উপস্থিতিতে তাঁকে বিয়ে করে ওই যুবক। এরপর স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে ওই যুবতী শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে গেলে তাঁকে প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে নীলকমলের পরিবারের লোকেরা জানান, বিয়ের বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। নীলকমল হাওড়ায় থাকে। এই বাড়ির সঙ্গে নীলকমলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়ে হয়ে থাকলে নীলকমলের নিজের বাড়িতে ওই যুবতী চলে যেতে পারে। ওই তরুণীর আগেও একটি বিয়ে রয়েছে এবং সেই বিয়ে নিয়ে একটি মামলাও চলছে বলে দাবি যুবকের পরিবারের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন