সৌদীপ ভট্টাচার্য : বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় পলাতক মূল অভিযুক্ত সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করলো এনফোর্সমেন্ট ডারেক্টরেট। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার সহ ৬ জনকে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের শনিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃতরা এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায় নি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে এই রাজ্যে পাঠিয়েছিল সে। বাংলাদেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তদন্তে এমনই রিপোর্ট উঠে আসে। ঘটনার পর থেকে সে দেশছাড়া হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি এব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডারেক্টরেটকে।
শুক্তবার এব্যাপারে ইডির অফিসারেরা একযোগে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর, কলকাতার বাইপাস এবং দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাঙ্গর মিলিয়ে মোট ৯ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর শনিবার বাংলাদেশের এই বড় মাপের ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার, তার ভাই পৃথ্বীশ হালদার সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এই প্রতারণা কান্ডের পিছনে অন্য কোনও প্রভাবশালী চক্রের যোগ আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডারেক্টরেট।
এদিকে, এই প্রতারণা কান্ডের আর এক অভিযুক্ত সুকুমার মৃধার একাধিক বাড়ি এবং সম্পত্তির সন্ধান পায় ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায় সুকুমারের এমন ৩ টি বাড়িতে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা তল্লাসি চালান ইডির অফিসারেরা। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি জমির দলিল সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার বাড়ির মূল গেটে নোটিশ লাগিয়ে বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের বাড়িতেও তল্লাসি অভিযান চালানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন