সৌদীপ ভট্টাচার্য : ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন। টানা ২৯ দিনের লড়াই শেষে শুক্রবার সকালে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
জানা গেছে, ১৭ মার্চ নিউমনিয়ার সমস্যা নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। রোগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান এই চিকিৎসক। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে সমস্তরকম চেষ্টা চালাচ্ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকে একের পর এক নানা রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন তিনি। বয়সজনিত রোগও জাঁকিয়ে বসে তাঁর শরীরে। অবশেষে শুক্রবার সকালে সমস্ত লড়াই শেষ হয়ে যায়।
ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজজন এবং টেস্ট টিউব বেবি গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সন্মানিত করা হয়। সল্টলেকে ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন।
প্রয়াত চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর ভাই অরুণ চক্রবর্তী জানান, 'কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত একমাস তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজকে সকালে একটা অ্যাটাক হয়। তারপরই লড়াই শেষ হয়।'
বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে চিকিৎসক মহলে। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, 'চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে চিকিৎসক এবং গবেষণা জগতের ক্ষতি হল। আমি ডা: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
শুক্রবার দুপুরে তাঁর মরদেহ প্রথমে তাঁর বর্তমান বাসভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে সিআইটি রোডে তাঁর পুরনো ক্লিনিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে তাঁর অনুরাগীরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অবশেষে সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য তাঁর মরদেহ নিমতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন