সৌদীপ ভট্টাচার্য : এক নাবালিকার সম্মানহানি করার ঘটনার পর আত্নহত্যা করতে বাধ্য হয় ওই নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর তারই বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইতে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন মৃত নাবালিকার মা। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানা এলাকার ঘটনা।
এই ঘটনা সম্পর্কে নাবালিকার পরিবারের পক্ষে আইনজীবী গৌরাঙ্গ পালের অভিযোগ, বারাসতের কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ১৪ বয়সের এক নাবালিকাকে কেছুদিন আগে অপহরণ করে নিয়ে যায় এলাকার এক যুবক। সেখানে তার শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক।
এব্যাপারে বারাসত থানায় ওই যুবক এবং তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও আইনী ব্যবস্থা গ্রহন না করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। এমনই অভিযোগ আইনজীবী গৌরাঙ্গ পালের। পুলিশের সেই কথা অনুযায়ী এরপর অভিযুক্ত যুবকের পরিবার বসে ঠিক করে যে, ওই নাবালিকার বয় ১৮ বছর হলে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে নি নাবালিকা এবং তার পরিবার। গত ৩ এপ্রিল রাতে আত্মহত্যা করে ওই নাবালিকা। অসম্মান সহ্য করতে না পেরে ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে এবং এই ঘটনার জন্য রাজবুল গাজি নামে ওই যুবক, তার বাবা সাইফুল গাজি এবং তার মা সায়েদা বিবি দায়ী– এইমর্মে ৪ এপ্রিল বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
কিন্তু তারপরেও বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করছে না, এই অভিযোগ তুলে বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের দ্বারস্থ হলেন মৃত নাবালিকার পরিবার। তাঁদের একটাই দাবি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন