সৌদীপ ভট্টাচার্য : মোটর বাইকের শোরুম থেকে এক ক্রেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পাওনা টাকা আদায় করতে ওই যুবককে প্রচন্ড মারধোর করা হয়। আর তার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ছোট জাগুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামে এক যুবক দিন কয়েক আগে নৈহাটির একটি শোরুম থেকে কিস্তিতে একটি মোটর বাইক কেনেন। কিস্তি পরিষোধ করতে তিনি ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু সই এর সমস্যার কারণে চেকটি বাউন্স হয়।
বুধবার শোরুম থেকে সাদ্দামকে ডেকে পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, শোরুম থেকে তাঁকে গাড়ির পুরো টাকা নগদে শোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এতো টাকা একবারে তাঁর দেওয়ার সামর্থ নেই বলে জানালে তাঁকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে ছাড়া হবে না বলে জানানো হয়।
এই পরিস্থিতিতে সাদ্দাম ফোন করে তাঁর আত্মীয়দের গোটা ঘটনা এমনকি মারধোরের কথা জানান। ফোন পেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকজন শোরুমে উপস্থিত হলে, তাঁদেরকে জানানো হয়, সাদ্দাম শোরুমের ভেতরে আত্মহত্যা করেছে।
এই খবর শুনে হতবাক্ হযে যান পরিবারের লোকেরা। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, সেখানে সাদ্দামের মৃতদেহ পরে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, টাকা আদায় করতে শোরুমের লোকেরা সাদ্দামকে মেরে ফেলেছে। এইমর্মে পরিবারের পক্ষ থেকে নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ শোরুমের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন