শম্পা গুপ্ত : একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে বিভৎসভাবে জখম হওয়া এক গ্রামবাসীকে জটিল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সুস্থ করে তুললেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বিরলতম এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পেলেন ওই ব্যক্তি।
জানা গেছে, পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার নদিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা, বছর পঞ্চাশের মহাদেব গোপ দিনকয়েক আগে গ্রামের পুকুরে স্নান করতে যান। এই সময় একটি পাগলা কুকুর তাঁকে আক্রমণ করে। তিনি পরে গেলে কুকুরটি তাঁর মুখে বিভৎসভাবে কামড় দেয়। মারাত্মকভাবে জখম হন তিনি। তাঁর নাক, ঠোঁট এবং চোখের একটা অংশে গুরুতর আঘাত লাগে।
এই অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালের নাক–কান–গলা বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের ওই বিভাগের প্রধান, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অতীশ হালদার রোগীকে পরীক্ষা করেই দ্রুত অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও দুই চিকিৎসক ডাক্তার মনোজ খান এবং ডাক্তার বুবাই মন্ডলকে নিয়ে একটি সার্জিকাল টিম তৈরি করেন। তারপর কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই জটিল অস্ত্রপচার। কুকুরে কামড়ালে সেখানে সেলাই না করার কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে রোগী এতটাই ভয়ঙ্করভাবে আহত ছিলেন যে, ক্ষতস্থান সেলাই না করলে রক্তপাত হয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় চিকিৎসকেরা সেলাই করতে বাধ্য হন।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অতীশ হালদার বলেন, 'পেশেন্টের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অজ্ঞান করা খুবই কঠিন ছিল। রোগীকে জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন সহ অন্যান্য মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি, কাটা জায়গায় ইঞ্জেকশন দিয়ে অবশ করে রোগীর ক্ষতস্থান সেলাই করা হয়।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন