সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার বনগাঁ পুরসভার দপ্তর বন্টন করা হল। পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এবং উপ পুরপ্রধান জ্যোৎস্না আঢ্য ছাড়াও ৩ জনকে সিআইসি করা হল। তাঁরা হলেন– দিলীপ মজুমদার, সম্পা মোহান্ত এবং মৌসুমী চক্রবর্তী। এছাড়াও, তৃণমূলের আরও ১৩ জন কাউন্সিলরকে বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হল। যদিও তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণা রায় এবং টুম্পা রায় কোনও পদে থাকতে চান নি।
কে কোন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন, দেখে নিন এক নজরে —
গোপাল শেঠ— পুরপ্রধানের পাশাপাশি সাধারণ প্রশাসন, হিসাব, অর্থ এবং পূর্ত দপ্তর।
জ্যোৎস্না আঢ্য— উপ পুরপ্রধানের পাশাপাশি রাজস্ব দপ্তর।
দিলীপ মজুমদার— জনস্বাস্থ্য দপ্তর (সিআইসি)।
সম্পা মোহান্ত— বিদ্যুৎ এবং আলো (সিআইসি)।
মৌসুমী চক্রবর্তী— শিক্ষা এবং মিড ডে মিল (সিআইসি)।
শিখা ঘোষ— এনইউএলএম দপ্তর।
অভিজিৎ কাপুরিয়া— পূর্ত দপ্তর।
অমিতাভ দাস— স্বাস্থ্য দপ্তর।
বন্দনা দাস কীর্তনিয়া— স্টোর এবং সমাজকল্যান দপ্তর।
বন্দনা মুন্সী— পার্ক এবং বাগান।
দীপালি বিশ্বাস— জয়েন্ট অপারেটর।
শর্মিলা দাস বৈরাগী— বস্তি উন্নয়ন দপ্তর।
সুরজিৎ দাস— এসসি, এসটি, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও পার্কিং দপ্তর।
সুকুমার রায়— ত্রান।
নারায়ন ঘোষ— জল সরবরাহ ও বিল্ডিং প্ল্যান।
প্রসেনজিৎ বিশ্বাস— দলনেতা, মিউটেশন, হিসাব দপ্তর।
দপ্তর বন্টনের পর এদিন পুরপ্রধান জানান, বনগাঁর উন্নয়নে সবাই একসঙ্গে কাজ করা হবে। এদিন দপ্তর বন্টনের আগে জয়ী সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৩ সিআইসি সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
এদিকে, বনগাঁ পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও দপ্তরের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলেন দুই জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায় এবং টুম্পা রায়। অভিমান থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন