শম্পা গুপ্ত : পুরুলিয়ার ঝালদা থানায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাধলো। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরনো থানায় হঠাৎ করে এই আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো। এটি দুর্ঘটনা না কি, অর্ন্তঘাত, সেই প্রশ্নই এখন উঁকি দিচ্ছে।
ঝালদা শহরের কাছে থানার নতুন ভবন তৈরি হয়ে যাওয়ার পর সেখানথেকেই থানার কাজকর্ম পরিচালনা হচ্ছে। শহরের মাঝে পরে রয়েছে থানার পুরনো ভবনটি। সেখানে পুলিশ ব্যারাক এবং মালখানাটি রয়ে গেছে। সোমবার পুরনো থানা ভবনের ভেতর হঠাৎ করেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এখানেই বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে ধরা পরে সিজ হওয়া পুরনো বাইক জমা করা ছিল। আগুনে সেই বাইকগুলি ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ওই ভবনে থাকা পুলিশ কর্মীরা জানান, থানার পুরনো ভবনের পাশ দিয়ে অন্নপূর্ণা পুজোর ঘট বিসর্জনের একটি শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। সেই শোভাযাত্রা থেকে পটকা ফাটানো হচ্ছিল।
শোভাযাত্রা চলে যাওয়ার পরেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আর তাই সন্দেহ করা হচ্ছে, সম্ভবত পটকার আগুন থেকেই থানা ক্যাম্পাসে আগুন লেগে গেছে। তবে দমকল কর্তৃপক্ষ এখনও আগুন লাগার কারণ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
যদিও শোভাযাত্রায় কোনও পটকা ফাটানোই হয় নি বলে দাবি করেছেন সুবর্ণ বণিক সমিতির অন্নপূর্ণা পূজা কমিটির সম্পাদক তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। বিপ্লববাবুর পাল্টা দাবি, উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে এই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝালদা থানার যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে একটা সিসি টিভি রয়েছে।
এই সিসিটিভি ফুটেজে তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের অনেক ফুটেজ থাকতে পারে। যেটা সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার জন্য আগুন লাগানো হতে পারে বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব কয়াল। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিসিটিভির সমস্ত ফুটেজ সিবিআই ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন