সমকালীন প্রতিবেদন : ইট দিয়ে মেরে বাবার মাথা ফাঁটিয়ে দিল ছেলে। ছেলের অশালীন কাজের প্রতিবাদ করায় এই 'শাস্তি' পেতে হল বাবাকে। এই ঘটনায় বাবার মাথায় চারটি সেলাই পেরেছে। বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার এই ঘটনা।
জানা গেছে, ফুলের ব্যবসা করেন গাইঘাটা থানার কারোলা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ছেলে সুমন বিশ্বাস কোনও কাজ করে না। সারাক্ষণ নেশা করে থাকে। শুধু তাই নয়, রাতের দিকে কখনও কখনও বাড়িতে পুরুষ এবং মহিলা বন্ধুদের ডেকে এনে আসর বসায়।
স্বপন বিশ্বাসের অভিযোগ, 'এতোদিন প্রতিবেশীদের কাছে ছেলের এই ধরনের কাজকর্মের কথা শুনে আসছিলাম। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখি, আমার ঘরের ভেতরে বিছানার উপর অশালীন অবস্থায় এক যুবক এবং এক যুবতী শুয়ে রয়েছে।'
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান স্বপনবাবু। তিনি ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে যান। সেই ফাঁকে দরজা খুলে দিয়ে ওই যুবক–যুবতীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা এবং ছেলের মধ্যে বিবাদ বেধে যায়।
অভিযোগ, বিবাদ চলাকালীন ছেলে সুমন বিশ্বাস তার বাবা স্বপন বিশ্বাসের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। আর তাতে মাথা ফেঁটে যায় স্বপন বিশ্বাসের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চাঁদপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় ৪ টি সেলাই পরে। এরপর তিনি গাইঘাটা থানায় ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও শ্বশুরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত সুমনের স্ত্রী পিয়ালী বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, তাঁর শ্বশুর প্রথমে তাঁর স্বামীর মাথায় আঘাত করে। আর তারপর বাধ্য হয়ে তাঁর স্বামী তাঁর শ্বশুরকে আঘাত করে। তাদের মধ্যে এই পারিবারিক ঝামেলা অনেকদিন ধরেই চলছে। অভিযুক্ত ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন