শম্পা গুপ্ত : ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন এক পুলিশ অফিসার। একজন পুলিশ আধিকারিকের এমন মানবিক কর্মকান্ডে আপ্লুত রোগীর পরিজনেরা। যদিও এমন ঘটনা নতুন নয় পুরুলিয়া টাউন থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর শেখ আব্দুল জামশেদের জীবনে। আজকের ঘটনা তাঁর জীবনের এই ধরনের সামাজিক কাজের তালিকায় নতুন সংযোজন।
দিন কয়েক আগে তাঁকে থানা থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে বিশেষ কাজে পাঠানো হয়। সেদিনই তিনি হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজের ফোন নম্বর দিয়ে জানিয়ে আসেন যে, তিনি বি নেগেটিভ রক্তের বাহক। যেহেতু এই গ্রুপের রক্ত কম পাওয়া যায়, তাই যদি কোনও রোগীর এই রক্ত প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
সোমবার দুপুরে থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ অফিসার শেখ আব্দুল জামশেদের কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে। তিনি জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত তাঁদের এক রোগী পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। এই ফোন পেয়েই ওই পুলিশ অফিসার থানার আইসি মানস সরকারের কাছে বিষয়টি জানান।
রক্ত দেওয়ার জন্য আইসির কাছে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি চান। আইসি তাঁর এক সহকর্মীর এমন মানসিকতা জানতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেন। এরপরই ওই পুলিশ অফিসার পুরুলিয়া হাসপাতালে পুলিশের পোষাক পরা অবস্থাতেই রক্ত দান করেন।
শান্তি রজক নামে ক্যান্সারে আক্রান্ত এক রোগীর আত্মীয় জানালেন, তাঁদের রোগীর বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল। আর তখনই হাসপাতাল থেকে ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁরা ওই পুলিশ অফিসারকে ফোন করতেই তিনি হাসপাতালে হাজির হন। তাঁর দেওয়া রক্তে আপাতত প্রাণ ফিরে পেলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত ওই রোগী। পুলিশ অফিসারের এই মানবিক ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিজনেরা।
বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত যেহেতু তুলনায় কম পাওয়া যায়, তাই পুলিশ অফিসার শেখ আব্দুল জামশেদ এর আগে যেখানে যেখানে কর্মরত ছিলেন, সেখানেও এইভাবে নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন পুলিশ অফিসারের এহেন মানসিকতায় খুশি তাঁর সহকর্মী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন