শম্পা গুপ্ত : পুরসভার বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল পুরুলিশার ঝালদা পুরসভায়। ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শেষপর্যন্ত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এদিন পুলিশের অন্যায় আচরণের অভিযোগ তুলে বুধবার ১২ ঘন্টা ঝালদা মহকুমা বন্ধের ডাক দিয়েছে জেলা কংগ্রেস।
তপন কান্দু হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কালা দিবস পালন করে কংগ্রেস। কালো পতাকা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মৌন মিছিলে অংশ নেন কংগ্রেস কর্মীরা। মিছিল ঝালদা পুরসভার কাছে আসতেই পুলিশ এই মিছিল আটকে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এদিন আগেথেকেই পুরসভার সামনে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। পুলিশ এদিন মিছিলে অংশ নেওয়া কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্যে মাইকে ঘোষনা করে যে, এই অঞ্চলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে এখানে কেউ একত্রিত হবেন না। পুলিশের বক্তব্য, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। আর তখন পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে গোলমাল বেধে যায়।
আর এই সময় মিছিলের সামনে থাকা তপন কান্দুর স্ত্রী, কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন। তাঁর শ্লীলতাহানী করা হয়। এমনই অভিযোগ তুলেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। আর তারই প্রতিবাদে ১২ ঘন্টা বনধ এর ডাক দেওয়া হয়েছে বলে নেপালবাবু জানান। তাঁর আরও অভিযোগ, এদিন পূর্ণিমা কান্দুর উপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা করে পুলিশ।
এদিকে, এদিন ঝালদায় বোর্ড গঠন করা হলেও পূর্ব ঘোষনা মতোই বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি কংগ্রেস কাউন্সিলররা। তবে তাঁরা শপথগ্রহণে অংশ নেন। বিপক্ষে কোনও ভোট না পড়ায় বাঁধাহীনভাবেই তৃণমূলের পক্ষে সুরেশ আগারওয়াল পুরপ্রধান এবং সুদীপ কর্মকার উপ পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন