সমকালীন প্রতিবেদন : তপন কান্দু খুনের মামলায় ধৃত তিন ব্যক্তি কলেবর সিং, নরেন কান্দু এবং মহম্মদ আশিককে লাগাতার জেরা করলো সিবিআই। একই সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় শার্প শ্যুটার হিসেবে চিহ্নিত কলেবর সিংকে নিয়ে সোমবার ঝালদার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেন সিবিআই কর্তারা। এদিন তাঁরা পুস্তি সহ আশাপাশের কয়েকটি গ্রামেও যান।
খুনের ঘটনার দিন যেখানে এই তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছিল, সেখানে এদিন কলেবরকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমান করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, ঘটনার দিন কলেবর একটি দোকান থেকে মদ কিনেছিল। এদিন সেই মদের দোকানেও যান তদন্তকারীরা। তবে নরেন কান্দু এবং মহম্মদ আশিককে এদিন ঝালদার সিবিআই এর অস্থায়ী শিবিরেই রাখা হয়।
সোমবার ঝালদা পুরসভার ৪ ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার পিন্টু চন্দ্রকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে ডেকে পাঠানো হয়। তার সঙ্গে সেখানে ডাকা হয় তৃণমূল কর্মী সত্যবান পরামানিককেও। সত্যবান নরেন কান্দুর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। এদের দুজনকেই আলাদা আলাদা করে প্রায় ঘন্টা দুয়েক জেরা করেন সিবিআই অফিসারেরা।
পরে এব্যাপারে পিন্টু চন্দ্র জানান, 'সিবিআই যা জানতে চেয়েছিল সব বলেছি।' সাংবাদিকদের কাছে এর বেশি অবশ্য তিনি কিছু জানাতে চাননি। জানা গেছে, তপন কান্দু পিন্টু চন্দ্রের ব্যাবসায়ীক অংশিদার ছিলেন। কিছুদিন তাঁরা যৌথভাবে প্রমোটিং এর কাজ করেছিলেন। সে সব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
আরও জানা গেছে, পুর নির্বাচনের সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে যে পাঁচ লক্ষ টাকার বাজি ধরা হয়েছিল, সেব্যাপারেও সিবিআইকে তথ্য দেওয়া হয়। দুই ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছায় নি, যার ফলে খুনের মতো ঘটনা ঘটতে পারে, এমনই দাবী করেন পিন্টু। এই খুনের ব্যাপারে ঝালদার আইসি সঞ্জিব ঘোষকে সিবিআই-য়ের ক্যাম্প অফিসে কবে ডাকা হবে, তা এখনও জানা যায় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন