সৌদীপ ভট্টাচার্য : পনের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল স্বামী এবং দেওরকে। উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধৃতদেরকে রবিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদেরকে ৫ দিনের জন্যে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কি কারণে ওই গৃহবধূকে প্রাণে মারার চেষ্টা হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরের বাসিন্দা তন্ময় দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতিতা মহিলার। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পনের টাকার জন্যে তাঁর স্বামী তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতে থাকে। এর পাশাপশি তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওর তাঁর সঙ্গে একই আচরণ করতে থাকে।
সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও তাঁর উপর অত্যাচারের মাত্রা কমে নি। এই পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারি মাসে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন ওই বধূ। নিজের সন্তানকি নিয়ে এরপর বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তিনি।
এদিকে, ১৯ মার্চ ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে হানা দেয় তাঁর স্বামী তন্ময় এবং তার ভাই জয় দাস। সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় গৃহবধূ দরজা খুলতেই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই দুজন। অভিযোগ, তাঁকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে দুজন।
আওয়াজ শুনে পাশের বাড়ি থেকে বধূর এক পরিচিত তাঁকে বাঁচাতে এলে তার উপরও চড়াও হয় ওই দুজন। লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করে ওই দুজন। আর তার ফলে পা ভেঙে যায় প্রতিবেশী ব্যক্তির। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বধূর স্বামী এবং দেওর।
অবশেষে বিধাননগর মহিলা থানার দারস্থ হন ওই মহিলা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নিউটাউন থেকে অভিযুক্ত তন্ময় এবং জয়কে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর মহিলা থানার পুলিশ। রবিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন