সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ের নাম করে স্বামীর বাড়ি থেকে গয়না, টাকা নিয়ে পালানোর এক চক্রের সন্ধান পেল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পুলিশ। বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হল নববধূকে। স্বামী সঞ্জিতের আরও অভিযোগ, এর আগে ওই মহিলা আরও চারটি বিয়ে করেছে। সেখানেও একইভাবে অশান্তি করে সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এটা তার পঞ্চম বিয়ে ছিল।
জানা গেছে, নদীয়ার চাকদা এলাকার শান্তি বিশ্বাস নামে এক মহিলা ঘটকের মাধ্যমে ওই এলাকার বাসিন্দা রাখি বিশ্বাস নামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় বাগদার দেহালদহ গ্রামের যুবক সঞ্জিত পালের। গত ২০ এপ্রিল ঘটা করে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ের পর স্বামী সঞ্জিত বুঝতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে। তাদের মোবাইলের কথোপকথন ধরে ফেললে অশান্তি শুরু হয়। সঞ্জিতের অভিযোগ, অশান্তির দোহাই দিয়ে বৃহস্পতিবার গয়না, টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে নববধূ। সেই সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন সঞ্জিতের মা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে নববধূকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
সঞ্জিতের মা সরলা পাল জানান, ঘটকের কাছে শুনেছিলাম, মেয়েটি অসহায়। তাই তাকে ছেলের বৌ করে বাড়িতে এনেছিলাম। কিন্তু সে যে এমন প্রতারক, তা বুঝতে পারি নি। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে সঞ্জিতের বাড়িতে উপস্থিত হন পঞ্চায়েতের জনস্বাস্থ্য সঞ্চালক অমূল্য হালদার। তিনি জানান, বিয়ের নাম করে এমন প্রতারণার কথা আগে শুনি নি।
বিয়ের নামে একের পর এক এমন প্রতারণার খবরে অবাক পুলিশও। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে বড় প্রতারণা চক্র রয়েছে। মহিলা ঘটকও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তার সন্ধান চালানো হচ্ছে। শুক্রবার পুলিশ ধৃত নববধূকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন