সৌদীপ ভট্টাচার্য : রামনবমী উপলক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। এদিন অবশ্য এই মিছিলের কারণে বারাসতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বারাসতের ময়না এলাকা থেকে রবিবার বিকেলে এই মিছিল শুরু হয়।
প্রতি বছর বারাসত এলাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে রামনবমী উপলক্ষ্যে এই মিছিল বের করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুবছর এই উৎসব পালন করতে পারেন নি তাঁরা। এবছর ফের এই উৎসব পালিত হওয়ায় প্রচুর মানুষ এই মিছিলে অংশ নেন। প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।
রামনবমী উৎসব পালনে হাতে অস্ত্র কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য মিছিলের উদ্যোক্তারা জানান, 'সব হিন্দু দেবদেবীর হাতেই অস্ত্র থাকে। সেখানে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র থাকবে না এটাই মুর্খামি।' এদিন মিছিল বারাসতের ময়না এলাকা থেকে শুরু করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডাকবাংলো পৌছায়। সেখান থেকে শেঠপুকুর হয়ে মিছিল পৌছায় বারাসত থানায়। তারপর থানা থেকে বারাসত বড়বাজারে গিয়ে রামনবমীর এই মিছিল শেষ হয়।
এদিকে, কামারহাটি এলাকায় রামনবমীর মিছিল আটকালেন স্থানীয় পুরপ্রধান বিমল সাহা। রামনবমী উপলক্ষ্যে কামারহাটি পুরসভার পাঞ্জাবি ভিলা মোড় থেকে একটি মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। সেইসময় কামারহাটি পুরসভার প্রধান বিমল সাহা ওই এলাকার একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে যান।
মিছিল শুরু হওয়ার মূহূর্তে পুজো শেষ করে তিনি হাতজোড় করে মিছিলে অংশগ্রহনকারীদের বলেন, 'এই স্থান দিয়ে কোনও মিছিল যাবে না। যার যার পুজো দিতে চান, তারা মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি চলে যান।' যদিও অপর পক্ষ থেকে হাতজোড় করে বিনীত নিবেদন করা হয় যে, তাদেরকে মিছিল করতে দেওয়া হোক। এরপরেই দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ এসে দু'পক্ষকেই ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন