Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

কাউন্সিলর খুনে ৭ লক্ষ টাকার সুপারি, দাবি পুলিশের

 

6-lakh-betel-nut-in-councilor-murder

শম্পা গুপ্ত : কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পেছনে রয়েছে পারিবারিক বিবাদ। এমনই দাবি, পুরুলিয়া জেলা পুলিশের। রবিবার এব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিত জানান পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ঘটনার তদন্ত শুরু হবার পর পুলিশ প্রথমেই গ্রেপ্তার করে নিহতের এক ভাইপো দীপক কান্দুকে। এরপর এই ঘটনায় সুপারি কিলার হিসেবে যুক্ত থাকা সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় কলেবর সিং নামে এক দুষ্কৃতীকে। তাদের জেরা করেই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় দীপকের বাবা তথা নিহত কাউন্সিলার তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু এবং মহঃ আশিককে।  

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার দাবি করেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে তপন কান্দুকে খুন করতে ৭ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিল তাঁর দাদা নরেন কান্দু। এই কাজ সমাধা করতে নরেন কান্দু যোগাযোগ করেছিল আসিক খানের সঙ্গে। আসিক খান আবার যোগাযোগ করে ভাড়াটে খুনি কলেবর সিংয়ের সঙ্গে। সে আরও কয়েকজন ভাড়াটে খুনিকে জোগাড় করে তপন কান্দুকে খুন করে।  

ধৃতদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া মোট চার অভিযুক্তকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই খুনের ঘটনায় আরও চারজন যুক্ত রয়েছে। তারা ঝাড়খন্ড এবং বিহারে লুকিয়ে রয়েছে বলে এদিন জানান জেলা পুলিশ সুপার৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে জেলা পুলিশ। 

তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, পুর নির্বাচনের আগে তপন কান্দু ও নরেন কান্দুর মধ্যে জয়–পরাজয়কে কেন্দ্র করে একটি বেটিং হয়। ৫ লক্ষ টাকা বেটিং ধরা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ সুপার অবশ্য এদিন দাবি করেন, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আই সির কোনভাবেই যোগাযোগ থাকার প্রমান পাওয়া যায়নি।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন