শম্পা গুপ্ত : পরিবারের ৩জনকে কুপিয়ে খুন করে নিজে আত্নঘাটী হবার চেষ্টা করল এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া জেলার কাশিপুর এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম গৌতম মাহাতো। পুলিশি প্রহরায় ওই খুনী যুবকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। মৃতদেহগুলি পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতরা হল মমতা মাহাতো (৩২), দেবজিত মাহাতো (৬) এবং প্রিয়া মাহাতো (৩)। মমতা মাহাতো গৌতমের স্ত্রী। আর দেবজিত এবং প্রিয় তাদের ছেলেমেয়ে। নিজের স্ত্রী এবং দুই শিশুসন্তানকে এভাবে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষ অভিযুক্ত গৌতমের চরম শাস্তির দাবি করেছেন।
জানা গেছে, পুরুলিয়ার কাশিপুরের রাঙ্গাডি গ্রামের যুবক গৌতম মাহাতো বদমেজাজি। আর সেই কারণে তার সঙ্গে প্রায়ই তার স্ত্রীর বিবাদ বাধতো। শনিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপরই এদিন গভীর রাতে সে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তার ঘুমন্ত স্ত্রী এবং সন্তানদের। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এরপরই নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে গৌতম।
ওই রাতেই প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। তাঁরাই গৌতমকে উদ্ধার করে কাশিপুর কল্লোলি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পুলিশি প্রহরায় সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে, পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত গৌতম মাহাতোর শ্বশুর নেপালচন্দ্র মাহাতো জানান, 'মেয়ে–জামাইয়ের মধ্যে গোলমালের কথা আমি জানতাম না। যাইহোক না কেন, এভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় যেভাবে মেয়ে এবং দুই নাতি নাতনিকে খুন করা হয়েছে, তাতে জামাইয়ের যেন ফাঁসির সাজা হয়।'
এই নৃশংস খুনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান। পরে তিনি জানান, 'অভিযুক্ত গৌতম মাহাতো সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটালো, তা জানা যাবে।' এই খুনের ঘটনার সঙ্গে পরকীয়া কোনও সম্পর্ক আছে কি না, পুলিশ সেদিকটিও তদন্ত করে দেখছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন