সমকালীন প্রতিবেদন : বাম শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দেশব্যাপী দুদিনের সাধারণ ধর্মঘটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল এই রাজ্যে। বনগাঁয় বন্ধ সফল করতে এদিন রাস্তায় নামেন বাম শ্রমিক সংগঠনের কর্মী, সমর্থকরা। একাধিক দাবিতে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা বন্ধে ব্যাপক সাড়া পড়লো পুরুলিয়া জেলায়। এদিন বারাসাত ডাকবাংলা মোড়ে ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বনধ সমর্থকেরা।
বেকার যুবকদের চাকরির দাবিতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সহ মোট ১২ দফা দাবির সমর্থনে ২৮ এবং ২৯ মার্চ দেশব্যাপী বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের আজ ছিল প্রথম দিন। বাম শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন, ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়।
এদিন বনগাঁয় বাম সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সরকারী অফিস এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে বনধ সফল করতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান বাম কর্মী, সমর্থকরা। এদিন বনগাঁয় পথে নেমে মিছিল করে বনধ সফল করার ডাক দেন বামেরা। বনধ সমর্থকদের দাবি, বনগাঁ শহরে এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট, রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোতে কর্মচারীরা সেভাবে আসেননি
এই বিষয়ে বনগাঁর সিটু নেতা ধৃতিমান পাল বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষের দাবিকে সামনে রেখে আজকে পথে নেমেছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল– ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, সরকারি কার্যালয়ে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে দু'দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।'
এদিকে, বনধের সমর্থনে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন মিছিল বের হয়, অন্যদিকে তেমনি ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা বনধেরর বিরোধিতা করে পুরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে মিছিল বের করে তৃণমূল। সবে মিলিয়ে সকাল থেকে উত্তেজনার পারদ চড়ল পুরুলিয়া জেলা জুড়ে।
সোমবার সকালে সিপিএম, এসইউসিআই সহ বিভিন্ন বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি মিলিতভাবে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করে। কোথাও পিকেটিং করে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন। অন্যদিকে, বন্ধের বিরোধিতা করে শহরে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত বনধের সমর্থনে বামপন্থী ও অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নগুলির মিছিল ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
যদিও প্রতিটি রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমে পড়েন বনধ সর্মথকেরা। বনধের জেরে পুরুলিয়া শহর থেকে এদিন কোন বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। সরকারি বাস চলাচল করলেও প্রচণ্ড ভিড় থাকায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন