সমকালীন প্রতিবেদন : করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবছর নতুন উদ্যমে শুরু হল মতুয়া ধর্মমেলা। এবারেই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী মতুয়া ধর্মমেলার সাফল্য কামনা করে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এই ঘটনায় আনন্দিত মতুয়া সম্প্রদায়।
সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের উদ্যোগে গোটা দেশের মধ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় ধর্মমেলা অনুষ্ঠিত হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে। ঠাকুর হরিচাঁদের ২১১ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আজ থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন প্রাঙ্গনে শুরু হল এবছরের মতুয়া ধর্মমেলা।
এব্যাপারে শান্তনু ঠাকুর জানান, মতুয়া সমাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এইধরনের শুভেচ্ছাবার্তা এই প্রথম। তিনি মতুয়া সম্প্রদায় এবং হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের সামাজিক কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। গত বছর বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে গিয়ে খুশি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে তিনি ঠাকুরনগরে এসে বড়মার আশির্বাদ নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ শোনানোর জন্য এদিন ঠাকুরনগর এলাকায় প্রায় ২০ টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়। এদিন রাত ৯ টায়প্রায় ১৫ মিনিটের এই ভাষনের শুরুতে বাংলায় শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ঘটনায় খুশি ঠাকুরবাড়ির সদস্যরাও।
নারী শিক্ষা থেকে শুরু করে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ টাকুরের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও অন্যায় দেখলে সমবেতভাবে তার প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ, এর সঙ্গে দেশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্তরকম প্রকল্পের সুবিধা যাতে মতুয়া সমাজের মানুষেরাও পান, সেদিকে নজর দিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন