শম্পা গুপ্ত : ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় ইউক্রেন থেকে পুরুলিয়ার নিতুরিয়া বাড়িতে ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া পিন্টুকুমার পাসোয়ান। দীর্ঘ উৎকন্ঠার পর শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফেরায় আনন্দ ধরে রাখতে পারেন নি মা রাজো দেবী। খুশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।
পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানার নিউকলোনীর একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান পিন্টু। বাবা অশোক পাসোয়ান ইসিএলের খনি কর্মী। তিন বোনের পর একমাত্র ভাই পিন্টু ছোটবেলা থেকেই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর চিকিৎসক হবার ইচ্ছে ছিল। সেই অনুযায়ী তিনি ইউক্রেনের ইভানো ফ্রাঙ্কিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এমবিবিএস পড়তে যান। বর্তমানে তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
কিন্তু সেদেশের কূটনৈতিক সমস্যায় তাঁর স্বপ্ন পূরণে বড় বাঁধা চলে এলো। প্রাণ নিয়ে কিভাবে বাড়িতে ফিরবেন, সেই চিন্তাই বড় হয়ে উঠলো, তাঁর মতো কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার। বাড়ি ফেরার বর্ণনা দিতে গিয়ে পিন্টু জানালেন, ইভানো থেকে তিনি বাসে প্রথমে রোমানিয়া বর্ডার পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। রোমানিয়ার বাসিন্দা ও ভারতীয় দূতাবাসের তরফে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
সেখান থেকে ভারত সরকারের সহায়তায় এয়ার ইণ্ডিয়ার বিমানে দিল্লী পৌঁছে বঙ্গ ভবনে একদিন থাকেন। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এরপর সেখান থেকে বিমানে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ রাঁচি পৌঁছান। তারপর নিতুরিয়ার বিডিওর সহায়তায় গাড়িতে করে রাঁচি থেকে সন্ধে ৭ টা নাগাদ নিতুরিয়ার বাড়িতে পৌঁছান পিন্টু। গোটাটাই এখন তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। প্রাণ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারবেন, সেটাই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন