Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

LEOPARD : চিতাবাঘের অস্তিত্ব মিললো পুরুলিয়ার জঙ্গলে, ছড়ালো আতঙ্ক

 ‌

The-existence-of-the-leopard-was-found-in-the-forest-of-Purulia

শম্পা গুপ্ত : চিতাবাঘের আতঙ্ক ‌ছড়ালো পুরুলিয়া জেলায়। আর তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বনদপ্তরের কর্মী, আধিকারিকদের কপালে। চিতাবাঘের আতংকে বাড়ির বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছেন পুরুলিয়ার কোটশিলা এলাকার সিমনি ও জাবর এলাকার মানুষজন। বন দপ্তরের বসানো ক্যামেরায় ধরা পরল সেই ছবি। বন দপ্তর চিতাবাঘের গতিবিধির উপর সর্বদা নজরদারি চালাচ্ছে। 

জঙ্গল মহল এলাকায় বড় কোনও মাংসাশী জন্তু ঘরে বেরাচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই সন্দেহ করছিলেন গ্রামবাসীরা। কয়েকটি ঘটনায় এই সন্দেহ দানা বাধে গ্রামবাসীদের মনে। পাশাপাশি, বন দপ্তরের কর্মীরাও এলাকায় চিতাবাঘের উপস্থিতির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছিলেন। বিষয়টির সত্যতা জানতে উদ্যোগী হয় বন দপ্তর।

এরপরই বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার জঙ্গলে একাধিক ট্রাপ ক্যামেরা লাগানো হয়। তাতেই ধরা পড়লো চিতা বাঘের ছবি। সেই ছবি বিশ্লেষন করে পুরুলিয়া বন দপ্তর জানিয়েছে, এটি একটি তিন বছর বয়সী পুরুষ চিতাবাঘ। ওই এলাকায় বাঘটির গতিবিধি জানার জন্য আরও বেশি করে এই ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করেছে বন দপ্তর। 

এব্যাপারে পুরুলিয়া বন দপ্তরের জেলা বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা জানান, 'পুরুলিয়ার কোটশিলা এলাকায় গভীর জঙ্গল রয়েছে। সেখানে প্রচুর সংখ্যায় বুনো শুয়োর, বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির হরিণ সহ নানা ছোট আকারের প্রাণী রয়েছে। আর এমন পরিবেশ চিতা বাঘের জন্য উপযুক্ত।'‌ 

বন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, এই জঙ্গল এর আগেও চিতাবাঘ থাকার প্রমাণ রয়েছে। তাই চিতাবাঘটিকে বন দপ্তর খাঁচাবন্দি করে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। তবে চিতাবাঘটি যাতে লোকালয়ের দিকে চলে এসে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, তারজন্য বিকল্প ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বন দপ্তর।  


এলাকায় আরও এই ধরনের চিতাবাঘ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে বন দপ্তর। কোটশিলার সিমনি এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বন দপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে গেছেন। একা জঙ্গলে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। সবকিছু জানার পর গ্রামবাসীরা আপাতত গভীর জঙ্গলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  


গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার জঙ্গলে গৃহপালিত পশু চড়তে গিয়ে সেগুলি হারিয়ে যাচ্ছিল। তাদের মৃতদেহও পাওয়া যাচ্ছিল। আর তাতেই গ্রামবাসীরা বুঝতে পারছিলেন, জঙ্গলে বড় কোনও জন্তু ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি বন দপ্তরকে জানানো হয়। আর তারপরই বন দপ্তরের ক্যামেরায় চিতাবাঘের ছবি ধরা পরায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গ্রামে।   



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন