সমকালীন প্রতিবেদন : আগামীকাল, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশানুসারে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে স্কুলগুলি। করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে নি। যদিও করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় কিছুটা নিশ্চিন্ত সব পক্ষই।
এবছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বেশকিছু নতুন নিয়ম লাগু করেছে। তারমধ্যে একটি হল– এখন থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থী ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটালে, সেই পরীক্ষার্থীকেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এর পাশাপাশি, করোনার কথা মাথায় রেখে এবছরই প্রথম একটি স্কুলে সর্বোচ্চ ২৫০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ জনের বেশি হয়, বাকিদেরকে অন্য স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও, প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে কমপক্ষে একটি করে কোভিড আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেখানে বসে করোনা আক্রান্ত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। প্রতি বছর পরীক্ষা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এব্যাপারেও এবারে কড়া পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরু হবার ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট পর পরীক্ষার্থীরা শৌচাগারে যেতে পারবে। পরিচ্ছন্ন ক্লিপবোর্ড, পেন ছাড়া পরীক্ষার হলে অন্য কোনওরকম ইলেকট্রনিক গেজেট নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। অন্য কারোর পেনও ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের কেবলমাত্র প্রথম দিনই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে তাঁদেরকে হলের বাইরে চলে আসতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন