সমকালীন প্রতিবেদন : ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হলেন বনগাঁর এক পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী। আক্রান্ত মহিলা প্রার্থীর নাম দেবযানী চ্যাটার্জী। তিনি এবারের পুর নির্বাচনে বনগাঁর ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি পরাজিত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোট গণনার পর বনগাঁ থানার আমলাপাড়ায় বাপের বাড়িতে চলে যান দেবযানী। সেখানে রাতে ছিলেন তিনি। রাত ২ টো নাগাদ তাঁর বাবা যখন শৌচাগারে যাবার জন্য বাইরে বের হন, তখন দোতলা থেকে রাস্তার কয়েকজনের গলা পান। কারা কথা বলছে জানতে চাইলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করা হয়।
পরিস্থিতি সুবিধার নয় বুঝতে পেরে তিনি ঘরে চলে যান। আর তখনই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মোট ৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। যদিও গুলি কারোর গায়ে লাগে নি। সকালে বাড়ি বারান্দা এবং উঠোন থেকে ৩ টি গুলির খাপ উদ্ধার হয়। একটি অব্যবহৃত গুলিও পাওয়া যায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী দেবযানী চ্যাটার্জীর বাবা তাপস মুখার্জী একসময় বনগাঁ পুরসভার প্রধান ছিলেন। বর্তমানে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। দেবযানী জানান, ভোটের দিন তাঁর ওয়ার্ডের একটি বুথে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর বাক্ বিতন্ডা হয়। তারপর থেকে তাঁর উপর নানাভাবে হুমকি আসছিল। বুধবার ভোট গণনার পর দেখা যায় তিনি পরাজিত হয়েছেন। এদিন রাতে তিনি আমলাপাড়ায় বাপের বাড়িতেই থেকে যান।
রাত ২ টো নাগাদ তাঁর বাবা তাপস মুখার্জী শৌচাগারে যাবার জন্য বাইরে বের হতেই বাড়ির উঠোনে কয়েকজনের কথা শুনতে পান। তিনি দেখেন ৩ জন যুবক মোটকবাইকে করে এসেছে। তিনি দোতলা থেকে মুখ বাড়িয়ে কথা বলতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যদিও গুলি তাঁর গায়ে লাগেনি। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির বারান্দা এবং উঠোন থেকে গুলির খাপ এবং ফায়ার না হওয়া গুলি উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে আসে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন