শম্পা গুপ্ত : কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সম্ভাব্য খুনির স্কেচ প্রকাশ করলো জেলা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে এই স্কেচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। একই সঙ্গে যদি কেউ খুনির হদিস দিতে পারেন, তাঁকে বড় অঙ্কের পুরষ্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষনা করা হল।
পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। তবু এখনও রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখতে নারাজ মৃতের পরিবার।
এখনও সিবিআই তদন্তের দাবীতেই অনড় রয়েছেন তাঁরা। ঝালদার স্টেশন রোডে নিজের বাস ভবনে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ফের বলেন, 'আমাদের রাজ্য পুলিশের উপর বিশ্বাস নেই।'
তাঁদের প্রধান অভিযোগ ঝালদার আইসি সঞ্জিব ঘোষের উপর। তাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। গ্রেপ্তার হওয়া দীপক কান্দুকে সঠিকভাবে জেরা করা হলেই খুনিদের হদিস পাওয়া যাবে বলে দাবী পরিবারের। সিবিআই তদন্তের দাবী করেন মৃতের আরেক ভাইপো মিঠুন কান্দুও।
এদিকে, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে নয়া মোড়। নিহত কাউন্সিলার তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর মোবাইল ফোন সিজ করল ঝালদা থানার পুলিশ। এই ফোন থেকেই ঝালদা থানার আইসির সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে। তদন্তের জন্যই এই ফোন পুলিশ সিজ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পর মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসির মোবাইল ফোনের অডিও ভাইরাল হয়। যদিও এই অডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও মিঠুন কান্দু স্বীকার করেছেন, ভাইরাল হওয়া এই অডিও তাঁর এবং ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের।
ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর কাকা তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করেছে, যার অডিও রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠুন কান্দু।
এবার তদন্তের জন্য সেই মোবাইল ফোনটি আটক করলো ঝালদা থানার পুলিশ। আজ মিঠুন কান্দু নিজে ঝালদা থানায় গিয়ে সেই মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন