সৌদীপ ভট্টাচার্য : বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় এক প্রতিবন্ধী যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর থানা এলাকার ঘটনা। ধৃত যুবকের নাম অঞ্জন চৌধুরী। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। খুনের ঘটনার সম্পর্কে আরও জানতে বিচারকের নির্দেশে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াপাড়া থানার ইছাপুর নতুনপাড়া কামাখ্যা মন্দির এলাকায় নিজের ঘরের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিক্তা চট্টোপাধ্যায় (৭০) নামে এক বৃদ্ধার। তাঁর স্বামী জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায় একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। অবসর নেওয়ার পর ইছাপুর মেটাল এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। বছর আটেক আগে মারা যান জ্যোতির্ময়বাবু।
স্বামীর মৃত্যুর পর বাড়িতে একাই থাকতেন শিক্তাদেবী। রবিবার রাতে তাঁর এক প্রতিবেশী তাঁর ঘরের দরজা খোলা দেখে তাঁকে উদ্দেশ্য করে ডাকাডাকি করেন। কোনও সাড়া না পেয়ে কলিং বেল বাজান। তারপর ফোনও করেন। কোনওকিছুতেই তাঁর সাড়া না মেলায় এরপর ওই প্রতিবেশী অন্যদের ডেকে নিয়ে এসে নোয়াপাড়া থানায় খবর দেন।
পুলিশ এসে ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পান, ওই বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে রয়েছে। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সোমবার স্নিফার ডগ এনে তদন্তে নামে পুলিশ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ইছাপুর লেলিন নগরের বাসিন্দা অঞ্জন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, বছর ছয়েক আগে রেল দুর্ঘটনায় একটি পা বাদ যায় অঞ্জনের। তারপরই সে নকল পা লাগিয়ে জীবনযাপন করছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শিক্তা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সে টাকা চেয়েছিল। আর সেই টাকা না পাওয়াতেই অঞ্জন ওই বৃদ্ধাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন