সমকালীন প্রতিবেদন : বাড়ি, বাইক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বনগাঁর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল। তাদেরকে শুক্রবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে, মিখ্যা অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এই দাবি করে এদিন সকালে বনগাঁ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, ২৭ ফেব্রুয়ারী ভোটের দিন বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে বুথের বাইরে ব্যাপক গোলমাল বাধে। বিকেলের দিকে এলাকার একাংশের মানুষ ভোটকর্মীদের তালাবন্দি করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তালা খুলে মুক্ত করা হয় ভোটকর্মীদের।
ওই ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী চিরঞ্জিত বিশ্বাসের দাবি, একদল দুষ্কৃতী ভোট লুট করতে আসে। স্থানীয় মানুষের প্রতিরোধে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে এলাকায় উপস্থিত হন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ভোট গণনার পর দেখা যায়, এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী চিরঞ্জিত বিশ্বাস।
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের দিন এলাকায় বাড়ি, মোটর বাইক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে বনগাঁর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ ছট্টু বিশ্বাস, বিশ্বনাথ হালদার, দীপক হালদার এবং ইসমাইল রানা নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে বনগাঁ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী নির্দল প্রার্থী চিরঞ্জিত বিশ্বাস এবং তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, এলাকার মানুষ বহিরাগতদের ভোট লুটের ঘটনা প্রতিহত করেছেন। কোনও ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটানো হয় নি। মিথ্যা অভিযোগে এলাকার ৪ জন নিরপরাধ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন