সমকালীন প্রতিবেদন : ভোটের নামে এক প্রকার প্রহসন চলল বনগাঁর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এমনই অভিযোগ সিপিএমের। দফায় দফায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে দখল নিল এই ওয়ার্ডের বনগাঁ হাইস্কুলের চারটি বুথ।
এই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দিশারী মুখার্জির অভিযোগ, 'সকালে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় দুষ্কৃতী তান্ডব। প্রথম দফায় একদল দুষ্কৃতী এসে বুথের সমস্ত দরজা বন্ধ করে ভয় দেখিয়ে পরপর ছাপ্পা ভোট দেয়। আমরা প্রতিবাদ করায় কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।'
এই ঘটনার পর বিজেপি এজেন্ট বুথ থেকে বেরিয়ে যান। তারপরেই এক বিজেপি কর্মী বুথের বাইরে আক্রান্ত হন। তাঁকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর ফের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হলেও ঘণ্টাখানেক বাদে আর একদল বহিরাগত হাজির হয় বনগাঁ হাইস্কুলে।
তারপর শুরু হয় দ্বিতীয় দফার বুথ দখল। পুলিশের সামনেই এই ওয়ার্ডের বনগাঁ হাইস্কুলের চারটি বুথ দখল করে নেয় বহিরাগতরা। এমনই অভিযোগ তুলে সিপিএম প্রার্থী জানান, বহিরাগতরা বুথের ভেতরে ঢুকে সবাইকে বের করে দিয়ে, দরজা বন্ধ করে একের পর এক ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে।
সিপিএম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, এই ওয়ার্ডের একটি বুথের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার। ফলে বহিরাগতদের ছাপ্পা ভোট দিতে সুবিধা হয়। একসময় গোটা হাইস্কুল চত্বর বহিরাগতদের দখলে চলে যায়। পরিস্থিতি বিপদজনক দেখে প্রার্থী নিজেও নিরাপদ দূরত্বে সরে যান।
এদিকে, বুথ দখলের খবর পেয়ে এলাকায় ছবি তুলতে যান সাংবাদিকরা। তাঁদের মধ্যে দুজন সাংবাদিককে দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে। তাদের মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়। আক্রান্ত দুই সাংবাদিকের নাম উৎপল মল্লিক এবং সুজিত সরকার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বনগাঁ মহকুমা প্রেস ক্লাব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন