সমকালীন প্রতিবেদন : নির্বাচনের দিন ঘোষনা না হলেও বনগাঁ পুরসভা এলাকায় পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কাজে দক্ষরাই টিকিট পাবেন বলে দাবি জেলা সভানেত্রীর। মঙ্গলবার দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী আলোরাণী সরকার, শহর সভাপতি দিলীপ দাস দলের প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিলেন।
মঙ্গলবার আলোরাণী সরকার জানান, 'বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য মোট ১১০ টি আবেদনপত্র জমা পরেছে। সেগুলি একত্রিত করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।' বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান শঙ্কর আঢ্য, উপ পুরপ্রধান কৃষ্ণা রায় প্রার্থী হচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন আলোরাণী সরকার জানান, 'কারা কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী হবেন, তা চূড়ান্ত করবে রাজ্য নেতৃত্ব।'
উল্লেখ্য, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য প্রার্থী হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন দলের বনগাঁ শহর সভাপতি দিলীপ দাস। মঙ্গলবার জেলার সভাপতির পাশে বলে দিলীপ দাস জানান, শঙ্কর আঢ্য প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সরাসরি সমর্থন করেন নি দলের জেলা সভানেত্রী আলোরাণী সরকার।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভানেত্রী দাবি করেন, তৃণমূলের হয়ে যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হবেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কারণ, মানুষ ভোট দেবেন মমতা ব্যানার্জীকে দেখে। আর এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিক্ষুব্ধ হিসেবে কেউ যদি দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করতে সময় নেবে না দলীয় নেতৃত্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন