দেবাশীষ গোস্বামী : ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা অতিমারির কারণে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে চলছিল লকডাউন। করোনা সংক্রমনের হার দিন দিন বাড়ছিল। বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা তখন খুবই খারাপ হয়ে পরে। কেন্দ্রীয় সরকার কি করে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে, সেই নিয়ে খুবই চিন্তিত।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় একটি আপদকালীন তহবিল গড়ার। এরজন্য সরকার একটি কমিটি তৈরি করে। এই কমিটির শীর্ষে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই তহবিলের নামকরণ হয় PM CARES FUND বা Prime Minister's Citizen Assistance and Relief Emergency Situation Fund।
ভারতের জনসাধারণের কাছে আবেদন করা হয় এই তহবিলের সাহায্য করার জন্য। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সারা ভারত থেকে এবং ভারতের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকরা এই তহবিলের জন্য অর্থ সাহায্য করেন। কিন্তু সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি, কত টাকা এই তহবিলে জমা হয়েছে বা কোথায় কত টাকা খরচ করা হয়েছে। এইজন্য সরকারবিরোধীরা নানানরকম সমালোচনা করে। সম্প্রতি এই তহবিলের মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত এক বছরের অডিট করা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এক বছরে মোট ১০৯৯০ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৯৪ কোটি টাকা বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এক বছরের মধ্যে মোট খরচ হয়েছে ৩৯৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১৩৯২ কোটি টাকা ৬.৬ কোটি ভ্যাকসিনের জন্য। ১৩১১ কোটি টাকা ৫০০০০ ভেন্টিলেটর কেনার জন্য।
এছাড়াও, পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য খরচ হয়েছে ২০১ কোটি টাকা। এছাড়াও, মুজাফফরনগর ও পাটনায় দুটো হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার জন্য এবং RT PCR ল্যাবরেটরি তৈরি করার জন্য খরচ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন