সমকালীন প্রতিবেদন : অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই মা এবং শিশুকন্যার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া গেল। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম শম্পা মন্ডল (২৫) এবং তাঁর শিশুকন্যার নাম বীথি মন্ডল (৩)। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত শম্পা মন্ডলের স্বামী পল্টন মন্ডল কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন৷ শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি, ভাসুর, জায়ের সঙ্গে থাকতেন শম্পা এবং তাঁর কন্যা। তাঁর জা তাপসী মন্ডল জানান, এক সপ্তাহ আগে শম্পা মেয়েকে নিয়ে গোবরডাঙায় ছোট দেওরের বাড়িতে বেড়াতে যান। কিন্তু দিন কয়েক পরেই বাড়ি ফিরে আসার জন্য বাড়িতে ফোন করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ ভাসুরের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন শম্পা। জা এর সঙ্গে দুপুরের খাওয়ার বিষয়ে কথাও হয়। পরে বিশেষ কাজে অন্যত্র যান জা তাপসী। বাড়ি ফিরে এসে জানতে পারেন, শম্পা এবং তার শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ঘরের ভেতর থেকে। কেন এমন ঘটনা ঘটলো, তা বুঝতে পারছেন না তিনি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
বিপুল সরকার নামে এক প্রতিবেশী জানান, 'অভ্যেসমতো এদিন দুপুরে ঘরের ভেতরে শুয়ে ছিলেন শম্পা এবং তাঁর মেয়ে। বিকেলে অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া না মেলায় আমরা গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে মা এবং মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে। আমরাই এরপর পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন