শম্পা গুপ্ত : প্রায় দুবছর পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলো জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যলয়গুলি। খুদেদের কলতানে মুখরিত হয়ে উঠলো প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্তর। ধুলো ঝেড়ে ক্লাস ঘরে শুরু হল পঠন পাঠন। আর তাতে খুশি খুদে পড়ুয়া থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকেরা।
পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এখনও সরকারী বিদ্যালয়ই শিক্ষার সব থেকে বড় এবং একমাত্র উপায়। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এইসব এলাকায় অনলাইন বা অন্য কোনও উপায়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আর এই পরিস্থিতিতে গত দুবছরে শিক্ষাক্ষেত্রে এখানে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
রাজ্য সরকারের ঘোষনার পর মঙ্গলবার থেকেই পুরুলিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শুরু হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ। ক্ষুদেদের স্কুলে স্বাগত জানাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছেন শিক্ষকেরাও। বুধবার সকাল থেকেই খুদে পড়ুয়ারা বই, খাতা নিয়ে একে একে ভীড় জমাতে থাকে তাদের শিক্ষালয়ে। বহুদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে তারা।
জঙ্গলমহলের এইসব প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায় ছোটদের স্কুল খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির পরিবেশ ফিরে এসেছে। স্বস্তি পেলেন অভিভাবক, শিক্ষকেরাও। এদিন সকালে আদিবাসী অধ্যুষিত মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুদে পড়ুয়াদের স্কুলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উপহার হিসেবে প্রত্যেকের হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার, খাতা, পেনসিল, ইরেজার, কেক, চকলেট এবং সঙ্গে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র বলেন, 'বাস্তবে এদিন নবীন বরণ করলাম আমরা।' ওদিন ছাত্র–শিক্ষক মিলিতভাবে মধ্যাহ্ন ভোজও সারলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন