সৌদীপ ভট্টাচার্য : নাম প্রকাশ না করেই উত্তর ২৪ পরগনার ৬১ জন তৃণমূল নেতা, কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। জেলার ১৩ টি পুরসভা মিলিয়ে এই ৬১ জনকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা দলের পক্ষ থেকে ঘোষনা করা হয়েছে। এরমধ্যে বনগাঁ পুরসভার ৯ জন রয়েছেন। যদিও যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাঁরা এখনও এব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
পুরসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ প্রাখ শুরু হয়েছে। অনেক কাউন্সিলরই এবারে টিকিট পান নি। ফলে তাদের অনেকেই নির্দলে আবার অনেকে অন্যদলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ব্যাপারে কড়া বার্তা দেওয়া হয়।
বার বার এব্যাপারে অনুরোধ করার পরেও অনেকেই শেষপর্যন্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেন নি। শুক্রবার অশোকনগরে এসেও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এব্যাপারে চুড়ান্ত সাবধানবাণী ঘোষনা করে যান। এরপর রাতের মধ্যে কয়েকজন দলের নির্দেশ মেনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে আসার কথা দলকে জানিয়ে দেন। তারমধ্যে যেমন গোবরডাঙা পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুভাষ দত্ত রয়েছেন।
শনিবার মধ্যমগ্রামে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের ব্যারাকপুর–দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক জানান, 'রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে উত্তর ২৪ পরগনার জেলায় তৃণমূল নেতা, কর্মী হয়েও নির্দলে অথবা অন্য দলের হয়ে লড়াই করছেন, জেলার এমন ১৩ টি পুরসভার ৬১ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।'
পরবর্তীতে তাদের আর দলে ফেরানো হবে কি না, এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু জানান, সেই বিষয়ে দলের রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও এদিন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কৃত নেতা, কর্মীদের নাম প্রকাশ করা হয় নি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্যরা।
যারা বহিষ্কৃত হলেন তাঁদের মধ্যে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ জন, দক্ষিন দমদমের ২ জন, খড়দার ২ জন, অশোকনগরের ৪ জন, টাকির ১ জন, টিটাগড়ের ৯ জন, গোবরডাঙার ২ জন, বাদুড়িয়ার ৯ জন, বারাসতের ৯ জন, উত্তর দমদমের ২ জন, কামারহাটীর ৮ জন, বনগাঁর ৯ জন এবং নব ব্যারাকপুর পুরসভার ২ জন রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন