সমকালীন প্রতিবেদন : রপ্তানী বানিজ্যের ট্রাক থেকে কয়েক কোটি টাকার পাচার সামগ্রী উদ্ধার করল পেট্রাপোল থানার পুলিশ। পন্যবোঝাই ওই ট্রাকটিতে বেদানা বোঝাই ছিল। ট্রাকের ভেতরে যে ফলের ক্যারেট ছিল, তার ভেতরেই লুকিয়ে রাখা ছিল এই সামগ্রীগুলি। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৬১ কেজি রুপোর গয়না এবং ৪৮০ পিস অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার তরুন হালদার পেট্রাপোল থানায় এব্যাপারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল বিশ্বাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অশেষবিক্রম দস্তিদার, পেট্রাপোল থানার ওসি গনেশ বাইন। হাজির করা হয় এই পাচার কান্ডে ধৃত দুই ট্রাককর্মীকেও।
পুলিশ সুপার তরুন হালদার জানান, 'রাজস্থান থেকে ফল বোঝাই করে একটি ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানীর জন্য পেট্রাপোল সীমান্তে আসে। নির্দিষ্ট সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে যে, ওই ট্রাকের ফলের ক্যারেটের ভেতরে করে এই সামগ্রীগুলি বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পেট্রাপোল থানার ওসি গনেশ বাইন বুধবার বিকেলে পেট্রাপোল পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই ট্রাকে তল্লাসী চালান। তারমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অশেষবিক্রম দস্তিদার। তাঁদের অভিযানে ট্রাকের ৫২ টি ফলের ক্যারেটের ভেতর থেকে এই সামগ্রীগুলি উদ্ধার হয়।'
এই ঘটনায় পুলিশ ওই ট্রাকের চালক থাকরা রাম এবং খালাসী লাডা রামকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে থাকরা রামের বাড়ি রাজস্থানের বার্মার জেলার সিনাডারি থানার মহাদেবপুরা গ্রামে। আর লাডা রামের বাড়ি রাজস্থানের জালোর জেলার সাইলা থানার চানচাওয়ান গ্রামে।' তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
পেট্রাপোল সীমান্তে রপ্তানী বানিজ্যের ট্রাকে করে বিভিন্ন সামগ্রী বাংলাদেশে পাচারের ঘটনা এর আগে বহুবার ঘটেছে। বিএসএফ, শুল্ক দপ্তরের অভিযানে তা ধরাও পরেছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তার কারণে এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারপরেও ফের পাচারের চেষ্টা হল। জেলা পুলিশের দাবি, এবারের এই অভিযানটি তাদের কাছে একটি বড় সাফল্য। এই পাচার চক্রে আর কারা কারা জড়িত আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন