সমকালীন প্রতিবেদন : মধ্য মার্চেই ভারতে অতীত হবে করোনা অতিমারির তৃতীয় ঢেউ। এমনই দাবি ন্যাশনাল করোনা সুপার মডেল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মনীন্দ্র আগরওয়ালের। এই আশারবাণী শুনিয়ে কানপুর আইআইটির গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ডক্টর আগরওয়াল জানিয়েছেন, এ মাসেই কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি, মুম্বাই করোনা সংক্রমনের শিখরে পৌঁছাবে। এখন যেখানে দেশে দৈনিক দুই লক্ষের কাছাকাছি সংক্রমনের সংখ্যা রয়েছে, সেখানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে সাত থেকে আট লক্ষে।
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী সংক্রমনের এই শিখর ছোঁয়ার পরে বিদায় নেবে তৃতীয় ঢেউ। তাঁর যুক্তি, ১০০ বছর আগে অতিমারি সংক্রমণের উপরে 'এসআইআর' নামে যে মডেল তৈরি হয়েছিল, সেই মডেলের মাধ্যমে অনেক অতিমারির গতিবিধির পূর্বাভাস এর আগেও মিলেছে। তার উপর ভিত্তি করেই তিনি এই দাবি করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন কতটা কার্যকরী, এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর তখন লকডাউন অতিপ্রয়োজনীয় ছিল। দ্বিতীয় ধাপের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার সেভাবে লকডাউন ঘোষণা করার কথা বলেনি। এবারের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুযায়ী মাঝারি মাপের লকডাউন চলছে। কারণ, করোনার কারণে লকডাউন সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় যেভাবে প্রভাব ফেলছে, তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর থেকেও ভয়ংকর। তাই এক্ষেত্রে কড়া লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তিনি।
এদিকে, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার থেকে দেশ জুড়ে করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মূলত করোনা মোকাবিলায় যারা প্রথম সারির যোদ্ধা এবং ৬০ উর্দ্ধ, তাঁদের এই বুষ্টার ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য লাইন পরছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩৫ হাজার জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন