সমকালীন প্রতিবেদন : করোনা সঙ্কটে অনেকটাই ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছেন রেড ভলান্টিয়ারেরা। তাঁদের কর্মকান্ডের জন্য ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজন– সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাঁরা। আর তাই আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর পুরসভা এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডে এই রেড ভলান্টিয়ারদের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম নেতৃত্ব। নিজেদের এই ভাবনার কথা সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করলেন অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর।
'কি চাইছে অশোকনগর' অর্থাৎ অশোকনগর পুরসভা এলাকার মানুষ কি চাইছেন, তা জানতে মানুষের দোরে দোরে যাবেন বামপন্থীরা। এরজন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকদের কাছ থেকে এই ফরম্যাটের মাধ্যমে তাঁদের মতামত তুলে আনবেন তাঁরা। শারীরিকভাবে মানুষের দোরে পৌঁছানোর পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও নাগরিকদের মতামত তুলে আনবেন তাঁরা। এছাড়াও, ২৫, ২৬ এবং ৩০ জানুয়ারী প্রকাশ্য সভা করেও মানুষের মতামত নেওয়া হবে। এরপর সেগুলি পর্যালোচনা করে নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি করা হবে।
অশোকনগর একসময় বামেদের আধিপত্য ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বর্তমানে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। এখন স্থানীয় পুরসভা, বিধানসভা কেন্দ্র সবই তৃণমূলের দখলে। বিজেপি থেকেও নেই অবস্থা। আর এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে পথে নামতে চাইছেন বামপন্থীরা। তাঁদের বিশ্বাস, আগামী দিনে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী একমাত্র বামেরাই। আর করোনাকালে সামাজিক কাজে রেড ভলান্টিয়ারেরা যেভাবে মানুষের পাশে ছিলেন, তাতে বামপন্থীদের দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁদেরকে এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ চিনেছেন, জেনেছেন। আর তাই পুর নির্বাচনে তাঁদেরকে প্রার্থী করলে মানুষ তাঁদেরকে ভরসা করে জেতাবেন।
অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, অশোকনগরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি হল তৈরি হয়ে রয়েছে। অথচ সেগুলি কাজে লাগছে না। বামেরা পুরসভায় ক্ষমতায় এলে ওই কমিউনিটি হলগুলিকে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে পুরসভার উপকেন্দ্র হিসেবে কাজে লাগানো হবে। তাতে সেই এলাকার মানুষ ওই অফিস থেকে পুরসভার কাজ মেটাতে পারবেন। অধিকতম দরিদ্র মহিলাদের মাসে আরও এক হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন