সমকালীন প্রতিবেদন : করোনার নতুন চরিত্র ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে রীতিমতো কাবু গোটা বিশ্ব। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি।
এই সীমান্ত দিয়ে যে সমস্ত বিদেশি পর্যটকরা ভারতে অর্থাৎ বসিরহাটে আসছেন, তাদের শুল্ক দপ্তরের অফিসে নিয়ে গিয়ে থার্মাল স্ক্যানিং করার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাদের ভারতে অর্থাৎ বসিরহাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। যদি রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে তাহলে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সীমান্ত লাগোয়া মেরুদন্ডী সেফ হোমে।
বাংলাদেশ থেকে যেসব ট্রাক পন্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে, সেই সমস্ত ট্রাকের চালক এবং খালাসিদের একইভাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা ট্রাকগুলিকে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এই সীমান্ত দিয়ে যেসব ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে যাচ্ছে, সেই সব ট্রাকের চালক, খালাসীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে।
করোনার সূচনা থেকেই পেট্রাপোল সীমান্তে কড়া নিয়ম পালন করছেন এখানকার ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। ভারত থেকে বাংলাদেশ পন্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক চালক এবং খালাসীরা ওদেশের ট্রাক চালক, খালাসীদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করছেন বলে দাবি পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন