সমকালীন প্রতিবেদন : দলে যারা বঞ্চিত, তাঁদেরকে একত্রিত করে, তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তাঁদের পাশে থাকবেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব যতই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক না কেন, তিনি তাঁর এই কাজ চালিয়ে যাবেন। কারণ, তিনি মনে করেন, দলের একজন দায়িত্ববান সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে এটা তাঁর কর্তব্য। রবিবার গোবরডাঙায় দলের একটি পিকনিকে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ফের দলের ভেতরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে, এদিন সন্ধেয় ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
সম্প্রতি রাজ্য এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার যে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে, সেখানে স্থান পান নি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাধিপতি, বিজেপি শান্তনু ঠাকুর এই ঘটনায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপর যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। কারণ, তিনি এবং মতুয়া মহাসঙ্ঘের বাকি কর্মকর্তারা মনে করেন, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি যে সাফল্যের মুখ দেখেছে, তার কৃতিত্ব অনেকটাই মতুয়াদের। কারণ, মতুয়াদের একটি বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।
অথচ সেই মতুয়ারাই এখন দলের কাছে বঞ্চিত। মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধিই বিজেপির কোনও নতুন কমিটিতে স্থান পান নি। এর পাশাপাশি, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারি নাগরিকত্ব বিল কার্যকরী করে নি। ফলে সব মিলিয়ে দলের প্রতি অসন্তোষ তৈরি হয়েছে অনেক সাংসদ, বিধায়ক এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। আর এই অসন্তুষ্ট নেতাদের একত্রিত করে নতুন স্ট্রাটেজি তৈরি করছেন শান্তনু ঠাকুর। তবে এখনই তিনি এব্যাপারে চুড়ান্ত কিছু জানান নি। রাজ্যের সমস্ত বঞ্চিত নেতা, কর্মীদের পাশে থাকতে, তাঁদের উজ্জীবিত করতে তিনি সম্পর্ক যাত্রা শুরু করেছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন