Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

টিকিট পেতে গেলে আগে পদত্যাগপত্র লিখে দিতে হবে, ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত বিজেপির

 

Exceptional-decision-of-BJP

সমকালীন প্রতিবেদন : দলত্যাগের অভিজ্ঞতা থেকে ‌শিক্ষা নিয়ে পুরসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। পুরসভা নির্বাচনে যাকে টিকিট দেওয়া হবে, সেই প্রার্থীর কাছ থেকে আগে থেকে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে নেওয়া হবে। গোপালনগরে দলের একটি কর্মসূচিতে যোগদান করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি, সাংসদ অর্জুন সিং। 


রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই উপলক্ষ্যে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ভেতরে থাকা ৫ টি পুরসভার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায় বৈঠক করেন অর্জুন সিং। সেখানে দলের একাধিক বিধায়ক কেন অনুপস্থিত, এটা কি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ? ‌এই প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন সিং জানান, দলের প্রত্যেক নেতার আলাদা আলাদা কায়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে। তাঁরা সেই কাজে ব্যস্ত থাকায় এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন নি।


বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যুব নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। যদিও টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত রাখা হবে। এসম্পর্কে এদিন অর্জুন সিং জানান, 'বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়লাভের পর অনেক বিধায়কই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে এবারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, জয়লাভের পর তাঁরা যাতে অন্য দলে যোগদান করতে  না পারেন, তারজন্য দলের প্রার্থী হবার আগেই তাঁর কাছ থেকে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে নেওয়া হবে।'‌


এই তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ‌আলোরাণী সরকার কটাক্ষের সুরে বলেন, 'দলের নেতা, কর্মীদের উপর বিজেপির দলীয় নেতৃত্বের ভরসা নেই। তাই এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নরেন্দ্র মোদী যদি জনগনের স্বার্থে কাজ করতেন, তাহলে বিজেপির নেতা, কর্মীরা দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাজে সামিল হতেন না।'‌









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন