সমকালীন প্রতিবেদন : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকার বাসিন্দার বাড়িতে গেলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। অসহায় পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হল। একইসঙ্গে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে যাতে একটি সরকারিভাবে কাজের ব্যবস্থা করা যায়, বিধায়ক তারও উদ্যোগ নেবেন বলে জানালেন। অশোকনগর পুরসভার এজি কলোনির বাসিন্দা মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুশান্ত বালা (৪৪)। অশোকনগরের আরও ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত কয়েক বছর ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সঙ্গে গোটা রাজ্যের থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। সম্প্রতি মধ্যমগ্রামে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এব্যাপারে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এই বৈঠকের পর ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন পুরসভা এবং ব্লক স্তরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তারই মধ্যে অশোকনগরের এক ব্যক্তির ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। জানা গেছে, সুশান্ত বালা নামে ওই ব্যক্তি বুধবার জ্বর নিয়ে হাবরা হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁর রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পরে। ততক্ষণে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। অবশেষে রবিবার মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
এদিকে, তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় তাঁর বাড়িতে হাজির হন এলাকার বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর হাতে বিধায়ক তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করেন। স্ত্রী এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র একমাত্র পুত্রকে নিয়ে সুশান্ত বালার সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনশীল সদস্য। ফলে তাঁর অকাল মৃত্যুতে অসহায় অবস্থায় পরেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে যাতে আইসিডিএস এ একটি কাজের ব্যবস্থা করা যায়, তারজন্য দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বিধায়ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন