সমকালীন প্রতিবেদন : প্লাইউডের গুদাম থেকে প্লাই বের করার সময় প্লাই চাপা পরে মৃত্যু হল এক খরিদ্দারের। মৃত ব্যক্তির নাম আশীষ তপাদার। বাড়ি গাইঘাটা থানার দোগাছিয়া মনমোহনপুর এলাকায়। বুধবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে বনগাঁ থানার রামনগর রোড এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্লাই কিনতে এসে এমনভাবে প্রাণ চলে যাবে, তা ভাবতেও পারেন নি পরিবারের লোকজন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বনগাঁ থানার পুলিশ।
জানা গেছে, মনমোহনপুর এলাকার বাসিন্দা আশীষ তপাদার তাঁর ভাই শুভাশীষ তপাদারকে নিয়ে বুধবার দুপুরে বনগাঁ ১ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি দোকানে প্লাই কিনতে আসেন। দোকান থেকে একজন কর্মচারীকে বনগাঁর রামনগর রোডে ওই দোকানের একটি গুদামে পাঠানো হয়। সঙ্গে আশীষ এবং শুভাশীষও আসেন। গুদামের ভেতরে কর্মচারীর সঙ্গে ঢোকেন আশীষ। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভাশীষ।
শুভাশীষ জানান, 'একটি প্লাই পছন্দ করে বাইরে বের করা হয়। বাকি আরও দুটি প্লাই বাছাই করার জন্য দোকানের কর্মচারী দাদার হাতে কয়েকটি প্লাই ধরিয়ে দেন। একসময় সেই প্লাইয়ের চাপ নিতে না পেরে সেই প্লাইগুলি দাদার গায়ের উপর পরে যায়। প্লাইয়ের চাপে মাথা, মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়। এই অবস্থায় আমরা কয়েকজন অনেক চেষ্টার পর দাদাকে সেখান থেকে বের করে টোটোতে করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দাদাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।'
ঘটনার খবর পেয়ে গুদামে ছুটে আসেন দোকান মালিক সত্যরঞ্জন দত্ত। পরে তিনি হাসপাতালেও যান। তিনি জানান, 'দোগাছিয়া থেকে প্লাই কিনতে এসেছিলেন দুই ভাই। পছন্দ করে প্লাই কেনার জন্য দোকানের কর্মচারির সঙ্গে তাঁরাও গুদামে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন বিপত্তি ঘটবে, তা ভাবতেও পারি নি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন