সৌদীপ ভট্টাচার্য : এবার সিলিকোসিস আক্রান্ত রোগীর হদিস মিললো। ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন রোগী। যদিও চিকিৎসকদের কথায়, গত একবছরে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। দিনে দিনে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে সিলিকোসিসের থাবায়। উওর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার একটি অংশে এই রোগে আক্রান্তদের এক এক করে মৃত্যু ঘটায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তর।
বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ ব্লকের ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালদহ গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩২ এর নাসিরউদ্দিন মোল্লা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে তাঁকে মিনাখাঁ গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে গত এক বছরে গোয়ালদহ গ্রামের পাঁচজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাম আমলে ২০০৮ ও ০৯ সালে এখানকার শ্রমিকেরা আসানসোল, রানীগঞ্জের একাধিক পাথর খাদানে কাজ করতে যেতেন।
দীর্ঘদিন পাথর পেশাই করার পর ডাস্ট পাউডার নিঃশ্বাস–প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের মধ্যে ঢুকে ধীরে ধীরে শ্বাসনালীতে জমাট বেঁধে মারণ রোগ সিলিকোসিসে পরিণত হয়। এই ধরনের শ্রমিকরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরত। এখনও পর্যন্ত গোয়ালদহ গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। এদেরকে ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে বিনামূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং ওষুধ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন মারণ রোগের বাসা বেঁধেছিল শরীরে।
যত সময় যাচ্ছে, ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন তাঁরা। গত এক বছরে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত নাসিরউদ্দিন মোল্লার দাদা আলাউদ্দিন মোল্লা গত এক বছর আগে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ইতিমধ্যে এই রোগের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিবার চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। ক্ষতিপূরণ আসছে ঠিকই। কিন্তু রোগের মারণ থাবা অব্যাহত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন