সমকালীন প্রতিবেদন : পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ির চালকের কাছ থেকে জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জাল নোট কারবারির নাম সাধন ঘোষ ওরফে মনা। বাড়ি বাগদা থানার বয়রা এলাকায়। ধৃতকে রবিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ২৫ অক্টোবর বাগদার দিক থেকে আসা পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি বনগাঁর ধর্মপুকুরিয়া এলাকার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নেয়। টাকা দেওয়ার সময় গাড়ির চালক অমিত প্রামানিক নামে এক ব্যক্তি ৩০০০ টাকা দেয়। অমিত প্রামানিকের দেওয়া নোটগুলি দেখে সন্দেহ হয় পাম্প কর্মীদের। এরপর তাঁরা নোটগুলি যন্ত্রে পরীক্ষা করতে গিয়েই পাম্প কর্মীরা বুঝতে পারেন, নোটগুলি জাল।
এরপর ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অমিত প্রামানিককে গ্রেপ্তার করে। ধৃত অমিত প্রামানিকের কাছে তল্লাসী চালানোর পর তার হেফাজত থেকে সেইসময় মোট ২৮ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। এরপর তাকে বনগাঁ আদালতে তুলে বিচারকের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই জাল নোট কারবারের মূল কারবারির নাম জানতে পারে পুলিশ। যদিও অমিত প্রামানিক গ্রেপ্তারের পর থেকে পলাতক ছিল ওই কারবারি।
শনিবার রাতে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে যে, এই জাল নোট কারবার চক্রের মূল পান্ডা সাধন ঘোষ ওরফে মনা তার বাগদার বয়রা গ্রামের বাড়িতে এসেছে। সেই খবর অনুযায়ী এদিন রাতে সেই বাড়িতে হানা দিয়ে সাধন ঘোষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিত প্রামানিকের মাধ্যমে এই জাল নোটগুলি বিভিন্নভাবে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চালাতো সাধন। এই জাল নোট সে কোথা থেকে সংগ্রহ করতো, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন