সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশের বেনাপোলে পন্য খালাস করতে গিয়ে সেদেশের ছিনতাইবাজদের হাতে এক ভারতীয় ট্রাক চালক জখম হবার ঘটনায় প্রতিবাদ সংগঠিত করলেন ট্রাক শ্রমিকেরা। শনিবার সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দরের ৩ নম্বর গেটের সামনে ভারতীয় ট্রাক চালক, খালাসিরা প্রতিবাদে সামিল হন। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানায় পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, 'বেনাপোল একটি সুসংহত পোর্ট। অথচ সেখানে নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই।'
৪ ডিসেম্বর কটন সামগ্রী বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে যায় একটি ভারতীয় ট্রাক। ৯ ডিসেম্বর রাতে সেই ট্রাকের পন্য ছিনতাই করার চেষ্টা করে বাংলাদেশের দুই ছিনতাইকারী। তাতে বাধা দিতে গেলে ওই ট্রাকের চালক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হৃষিকেশ যাদবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সেই হামলায় পিঠে আঘাত পান ওই চালক। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্তানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর পিঠে ১৯ টি সেলাই পরে।
এই ঘটনায় ট্রাক কর্মীদের মধ্যে ফের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কখনও স্প্রে করে অজ্ঞান করে, আবার কখনও সরাসরি হামলা চালিয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তায় ঘেরা সেদেশের বন্দর এলাকার মধ্যে বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও সেদেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে উদাসীন। এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে আর না ঘটে, তার দাবিতে এদিন পেট্রাপোলে বিক্ষোভ দেখান ট্রাক কর্মীরা।
এব্যাপারে জনপথ পরিবহন মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক আনন্দ বিশ্বাস জানান, 'এর আগে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা এব্যাপারে কর্ণপাত করছে না। যার কারণে এদিন ফের হামলার ঘটনা ঘটলো। আধিকারিকদের গাফিলতি, অলসতার কারণেই এমন হামলার ঘটনা বার বার ঘটছে। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।' আগামী দিনে এমন ঘটনা বন্ধ না হলে ট্রাক চালকদের বৃহত্তর আন্দোলনকে ক্লিয়ারিং এজেন্টরাও সমর্থন জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন