সমকালীন প্রতিবেদন : চাষের জমির আল কাঁটা নিয়ে গোলমালের জেরে প্রতিবেশীর নাক কামড়ে ছিঁড়ে নিল আর এক প্রতিবেশী। কাটা কান হাতে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হলেন আক্রান্ত। এমন ঘটনায় হতবাক্ চিকিৎসকেরা। অবশেষে সেই কাটা নাক সেলাই করে জোড়া লাগালেন চিকিৎসকেরা। আক্রান্ত ব্যক্তি আপতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার মনোহরপুর গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালনগর থানার মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু তরফদার প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশেই নিজের চাষের জমিতে গিয়েছিলেন। জাওয়াদ এর জেরে গত দুদিনের নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে জল জমে যায় চাষের জমিতে। মিন্টুবাবু তাঁর জমিতে সর্ষে চাষ করেছেন। সকালে জমিতে গিয়ে দেখতে পান, তাঁর পাশের জমির মালিক অতুল্য মন্ডল নামে এক প্রতিবেশী তাঁর জমির জল আল বেঁধে আটকে দিয়েছেন। জল আটকে যাওয়ায় জমির সর্ষে জলে তলিয়ে যায় মিন্টুবাবুর। জমির জল বের করতে জমির আল কেঁটে দেন মিন্টুবাবু।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ মিন্টু তরফদারের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় প্রতিবেশী অতুল্য মন্ডলের। এই ঘটনার সময় মিন্টুবাবুর পাশে তাঁর ভাইপো উপস্থিত ছিলেন। মিন্টুবাবুর অভিযোগ, অতুল্য মন্ডল এবং তার সহযোগীরা পারঘাটা এলাকায় তাঁদেরকে জমির পাশের রাস্তার উপর ফেলে মারধোর করতে শুরু করে। মারধোর করার সময় অতুল্য মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি মিন্টুবাবুর নাক কামড়ে নেয়।
কামড়ের চোটে নাকের কিছুটা অংশ কেটে পরে যায়। সেই অবস্থায় বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কাটা নাকের অংশ হাতে নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছান মিন্টু তরফদার। চিকিৎসকেরা সেলাই করে আপাপতত তাঁর নাক জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পরিবারের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় অতুল্য মন্ডল এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অতুল্য ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন