সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় অবশেষে শুক্রবার থেকে ফের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের এইচডিইউ পরিষেবা চালু করা হল। পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে এই হাসপাতালের হাই ডিপেডেন্সি ইউনিটটি (এইচডিইউ) দিন সাতেক বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর ফলে এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পরছিল, তাঁদেরকে জেলা বা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। যার ফলে সমস্যায় পরতে হচ্ছিল রোগীর পরিজনদের। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিভাগের পরিষেবা চালু করে দেওয়ায় স্বস্তিতে রোগীর পরিজনেরা।
বনগাঁ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বছর ছয়েক আগে এই হাসপাতালে ৬ বেডের এইচডিইউ পরিষেবা চালু করা হয়। মূলত হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পরলে চিকিৎসকেরা তখন এইচডিইউ তে স্থানান্তরিত করেন। এখানে যেহেতু আইসিইউ নেই, তাই এই এইচডিইউ এর উপর নির্ভর করে ওইসব রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। অনেক রোগীই বনগাঁ হাসপাতালের এইচডিইউ পরিষেবার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
তবে সম্প্রতি এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পরতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৬ বেডের এইচডিইউ চালানোর জন্য ২৪ ঘন্টার জন্য ৬ জন বিশেষজ্ঞ মেডিকেল অফিসার এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় নার্স নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের ৩ জন চিকিৎসক রিলিজ নিয়ে চলে গেছেন। এই বিভাগের আরও একজন চিকিৎসকের ছেলের অকাল মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে ২ জন মেডিকেল অফিসার নিয়ে ২৪ ঘন্টা এই ইউনিট চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে বাকি দুই মেডিকেল অফিসার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।
পরিস্থিতির চাপে দিন কয়েক আগে সাময়িকভাবে এই ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতে সমস্যায় পরতে হয় মুমূর্ষু রোগীদের। চিকিৎসকেরা তাঁদেরকে জেলা বা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এব্যাপারে শুক্রবার বনগাঁ হাসপাতালের সুপার ডা: শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো জানান, 'সমস্যার কথা স্বাস্থ্য ভবনে জানানোর পর জরুরী ভিত্তিতে আজ দুজন মেজিকেল অফিসারকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়োগের নির্দেশ জারি করে স্বাস্থ্য ভবন। তাঁরা জয়েন করার আগেই আজ থেকে এইচডিইউর পরিষেবা চালু করে দেওয়া হল।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন