পর্যটকের ঢল
ওমিক্রন আতঙ্ককে সরিয়ে রেখে বছরের শেষ দিনে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতি নদীর পাড়ে পর্যটকের ঢল নামলো। এই বছরটি কখনো করোনা, আবার কখনও ইয়াশ, জাওয়াদের মতো ঝড়ের আতঙ্কে বিপর্যস্ত মানুষ। এই পরিস্থিতিতে যেন মুক্তির স্বাদ পেয়ে বছরের শেষ দিনে পর্যটকরা ভিড় জমান টাকিতে। সুন্দরবন এলাকার পাশাপাশি কলকাতা, বারাসত সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন মানুষ হাজির হন টাকিতে। এখানকার রাজবাড়ী ঘাট, মিনি সুন্দরবনের পাশাপাশি ইছামতি বক্ষে নৌবিহারের মাধ্যমে এদিনটি মনের মতো করে উপভোগ করেছেন পর্যটকেরা। অনেকে সেলফিও তোলেন। ঘুরতে আসার পাশাপাশি অনেকে এখানে বনভোজন করতেও আসছেন।
গেটে তালা
নিজের জমানো টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও টাকা না মেলায় উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার একটি বেসরকারি সংস্থার শাখা অফিসে তালা লাগিয়ে দিলেন সঞ্জীব সাহা নামে এক গ্রাহক। গ্রাহকের দাবি, তিনি ২০১২ সালে আড়াই লক্ষ টাকার ফিক্স ডিপোজিট করেন ওই সংস্থায়। চার বছরের জন্য তিনি সেই টাকা গচ্ছিত রাখেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। সঞ্জীব সাহার অভিযোগ, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার তাঁকে বলেছিলেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে এদিন বিকেলে ব্রাঞ্চে হাজির হন সঞ্জীব সাহা। কিন্তু ফের একবার ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, আরও কিছুদিন পরে মিলবে টাকা। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে এদিন সঞ্জীববাবু ব্রাঞ্চের গেটে তালা ঝুলিয়ে বসে থাকেন। তিনি দাবি করেন, যতক্ষণ না তিনি টাকা ফেরত পাচ্ছেন, ততক্ষণ তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে তালাবন্দি করে আটকে রাখবেন। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জানান, সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হওয়ার কারণে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।
নাকা চেকিং
নাশকতা রুখতে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা মহেশ নদী চেকপোষ্টে জোরদার নাকা চেকিং করল নিতুরিয়া থানা। শুক্রবার বছরের শেষদিনে মহেশ নদী চেকপোষ্টের দুদিক থেকে আসা সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে তল্লাশি। বাইক ও চারচাকার ডিকি খুলে চিরুনী তল্লাশী চালানো হয়। এছাড়াও গাড়ীতে থাকা প্রত্যেকে মাস্ক পরেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হয়। মাস্কবিহীনদের মাস্ক বিতরনের পাশাপাশি ট্রাফিক আইনের বার্তা দেন নিতুরিয়া থানার পুলিস আধিকারিকরা। এদিন সকালে নেতাজী সুভাষ সেতু থেকে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের একটি র্যালি বের হয়। র্যালি পারবেলিয়া বাজার পর্যন্ত যায়। হেলমেটবিহীনদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বোঝানোর পাশাপাশি মাস্কবিহীনদের মাস্ক ও চকোলেট দেওয়া হয়। বেলগুমা পুলিশ লাইনের সামনে সদর ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে নাকা চেকিং হয়। জয়পুর থানার চাষ মোড়ে, ঝালদা থানার সীমান্তবর্তী এলাকা সহ সমস্ত থানা এলাকাতেই বছর শেষে নাকা চেকিং করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন